You can edit almost every page by Creating an account. Otherwise, see the FAQ.

Abdur Rahman Barni

From EverybodyWiki Bios & Wiki

ওলীয়ে কামেল বর্ষীয়ান বুজুর্গ হজরৎ মওলানা আব্দুর রহমান বর্ণী (1932-9 April 2002 ) বাংলার একজন জবরদস্ত আলেমে দ্বীন এবং সাহেব কেবলা ফুলতলীর অন্যতম খলীফা। তিনি ছিলেন রাখালগঞ্জ দারুল কুরআন সিনিয়র মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা (প্রঃ ১৯৫৭) এবং চান্দগ্রাম আনোয়ারুল উলূম মাদ্রাসার দীর্ঘকালীন ওস্তাদ।

সীরতে হজরৎ বর্ণী[edit]

আব্দুর রহমান বর্ণী সাহেব ১৯৩২ মসীহী সালে বিয়ানীবাজারের লাউতা এলাকার টিকরপাড়া গ্রামে পয়দা হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন পরহেজগার আল্লাওয়ালা জনাব ইস্রাব আলী সাহেবের পাঁচ সন্তানদের সর্বকনিষ্ঠ। ১৯৪৪ মসীহী সালে জনাব ইস্রাব আলী সাহেব টিকরপাড়ার জমীন বেঁচিয়া খান্দানসহ বড়লেখা থানাস্থ বর্ণী গ্রামে চলে যান। এই বর্ণী গ্রামেই ওলীয়ে কামেল বর্ষীয়ান বুজুর্গ হজরৎ মওলানা আব্দুর রহমান বর্ণী বড় হয়েছিলেন (যদিও খান্দানটি পরবর্তীতে বর্ণী থেকে নিকটবর্তী রহমানিয়া-টুকা গ্রামে চলে যান)।

উনার তালীম বাড়ীতেই শুরূ হয়েছিল। তারপর তিনি বাহাদুরপুর মাদ্রাসা থেকে ইবতেদায়ীয়া পাশ করেন। তারপর তিনি বিয়ানীবাজার সিনিয়র মাদ্রাসা থেকে দাখেল পাশ করেন। তারপর তিনি ঐতিহ্যবাহী ঝিঙ্গাবাড়ী আলিয়া মাদ্রাসা থেকে আলেম (১৯৫৩) পাশ করেন। ১৯৫৩ মসীহী সালে, মাত্র ২১ সাল ব​য়স থাকতে তিনি স্বীয় মুর্শিদ সাহেব কেবলা আল্লামা আব্দুল লতীফ চৌধুরী ফুলতলী সাহেবের দস্ত হতে ইলমে তসওয়ুফে তরীকতের এজাজৎ লাভ করেন। ফুলতলীর নির্দেশে তিনি চিশতী চিল্লা করেছিলেন। এক সময় ঘিলাছড়া (মুমিনছড়া) চা বাগানের পাহাড়ে দু'জনে চিল্লায় নির্জন হয়ে পড়েন। শেষের দিকে জনৈক খাদেম সাহেব লক্ষ্য করলেন যে বর্ণী সাহেব বেহুশ হয়ে গেলেন এবং সাথে সাথে ফুলতলী সাহেবকে জানালেন। ফুলতলী সাহেব বললেন, যিনি তাকে বেহুশ করেছেন, তিনি আবার তাকে চুপ করে রাখবেন। চিল্লা শেষ হওয়ার পর ফুলতলী সাহেব তার পাগড়ি নিয়ে বর্ণীর উপর লাগিয়ে তার মকবুলিয়তের জন্য দুআ করলেন। এর পরে আব্দুর রহমান বর্ণী ঝিঙ্গাবাড়ীতে ফিরিয়া ফাজেল (১৯৫৫) সমাপ্ত করেন। তারপর তিনি ঐতিহ্যবাহী সিলেট সরকারী আলিয়া মাদ্রাসা থেকে কামেল-ই-হাদীছ (১৯৫৭) পাশ করেন। সিলেট থাকাকালীন উনার ওস্তাদ ছিলেন শায়খুল হাদীছ আল্লামা হরমুজুল্লাহ শয়দা সাহেব।

আব্দুর রহমান বর্ণী তারপর নিজের একটি মাদ্রাসা খোলার জজবা হলো। ১৯৫৭ মসীহী সালে তিনি রাখালগঞ্জ দারুল কুরআন সিনিয়র মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭২ সালে কুলাউড়া থানার আলালপুর গ্রামে হজরৎ ইয়াকুব বদরপুরীর ঈসাল-ই-ছয়াবের সময় রঈসুল হুফফাজ আব্দুল বারী চান্দগ্রামী সাহেব বর্ণী সাহেবের বয়ানে বিস্মিত হয়ে তার পর্যায়ের একজনকে চান্দগ্রাম মাদ্রাসায় যোগদানের লাগিয়া আরজ করেন। বর্ণী সাহেব বললেন, সম্ভব হবে না, কিন্তু চান্দগ্রামী সাহেব নাছোড়বান্দা হয়ে তহজ্জুদের ওক্তে তার লাগিয়া দোয়া করবেন বলে ওয়াদা দেন। চান্দগ্রামী সাহেবের খাস দোয়া ও ফুলতলী সাহেবের এজাজতের মাধ্যমে বর্ণী সাহেব রাখালগঞ্জ মাদ্রাসার মহতমিমের পদ ছেড়ে দিয়ে চান্দগ্রাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট হন। চান্দগ্রাম আনোয়ারুল উলূম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে বর্ণী সাহেব অবসর গ্রহণ করেন।

১৯৯০ মসীহি সালে, হজরতে বর্ণী সাহেব গোলাম হোসেন সৎপুরী সাহেবের সঙ্গে হজ্জ করেন। ৯ এপ্রিল ২০০২ তারীখে রাত দশ্টায় সিলেটের আয়েশা ক্লিনিকে ২০ দিন বেমার হইয়া তিনি ইন্তেকাল করেন। উনার পহেলা ঈসাল-ই-ছোয়াব মহফিলে ফুলতলী সাহেব বলেন, বর্ণী সাহেব আল্লাহর মকবুল বন্দা ছিলেন এবং তাঁর মকবুলিয়ত তাঁর সহজ জীবনযাপন থেকে প্রমাণিত, কাউকে কষ্ট দেননি, তাঁর ওয়াজ সুর আছিল্।

References[edit]